গ্রন্থ বিবরণ
‘আশু, আশুতোষ দাস দশঘড়া হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। স্কুলে ভালো ছেলে হিসেবে সবাই এক ডাকে চেনে। থার্ড হয়ে সে নাইনে উঠেছে। ফার্স্ট-সেকেন্ড বা ফোর্থ-ফিফথ যারা হয়েছে, কেউ-ই তার মতো গরিবঘরের তাঁতিপুত্র নয়। রাজপুত্র বললেই ভালো হয়।’ তাঁত বোনে আশুর বাবা। তাঁত বোনে দাদা। খটাং খট খটাং খট। মাকু চলে । তৈরি হয় শাড়ি। রংচঙে উজ্জ্বল শাড়ি। সেই শাড়ির রং আশুদের জীবনে লাগে না। বিবর্ণ ধূসরই রয়ে যায়। তাঁতিজীবনের দুঃখের বারমাস্যা, এক কিশোরের আশা নিরাশা ছোটোদের মতো করে শুনিয়েছেন লেখক। বানানো গল্পকথা নয়, ওদের কথা লিখবেন বলে ক’দিন ছিলেনও মহিষগড়িয়া গ্রামে। মানুষজন তাদের দুঃখ-সংগ্রাম, পথঘাট, গাছপালা সবই বাস্তব থেকে উঠে এসেছে ‘ তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা ‘ বইয়ের পাতায়। এ বই পড়তে পড়তে ছোটোরা গ্রামকে চিনবে। আশুর প্রতি সহানুভূতি সমবেদনা জাগবে। জীবনের উত্তাপ তাদেরও স্পর্শ করবে।
Reviews
There are no reviews yet.