গ্রন্থ বিবরণ
নারী পাচার একটা ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। আইন করেও এই অপরাধ কমানো যাচ্ছেনা। এর একটি বোরো কারণ যদি হয় দারিদ্র তাহলে আর একটি বৃহৎ কারণ হলো সচেতনার অভাব। মেয়েদের ভোগপণ্য হিসাবে দেখার প্রবণতা সমাজের সব স্তরেই বর্তমান। যন্ত্রনায় বিদ্ধ হয় পাচার হওয়া মেয়েটি। উপন্যাস “পাচার” এ লেখিকা মধুমিতা চক্রবর্তী সেইসব অত্যাচার ও অমানুষিক শোষণের কাহিনী তুলে ধরেছেন।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Mousumi Banerjee (verified owner) –
মধুমিতা চক্রবর্তীর “পাচার” উপন্যাসটি আজকের সমাজ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এক উপন্যাস। সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখিকার নিজের অভিজ্ঞতায় লেখা একটি উপন্যাস। লেখিকা সমাজের নগ্ন বাস্তব কে সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছে এই উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে। কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ হতদরিদ্র পরিবারের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সেই পরিবারের নাবালিকাদের অন্যপ্রদেশে পাচার করা হয় এবং কি অপরিসীম নির্মল অত্যাচার ও এক অন্ধকার জগতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় তারই গল্প। যদিও শেষের আশার আলো দেখা গেছে, লেখিকা নিজেও কিছু মহিলা আর পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্যোগে ও সহযোগিতা একটি পাচার হওয়া কন্যা কে উদ্ধার করা হয়। এই উপন্যাসের মধ্যে সমাজ অনেকটা সচেতন হয়ে উঠবে এটি পড়া অত্যন্ত জরুর সবার।
ডঃ সুকান্ত কর্মকার –
মধুমিতা চক্রবর্তীর ‘পাচার’ উপন্যাসটি একটি অসাধারণ লেখা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেয়েরা কীভাবে পাচার চক্রের হাতে পড়ে দুর্বিসহ জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তা লেখিকা নিপুণভাবে
তুলে ধরেছেন। মেয়েটির বাঁচার লড়াই চালানো এবং পরিশেষে মেয়েটির আলোয় ফেরা পাঠককে মুগ্ধ করে। লেখিকা এইধরণের আরও লেখা আমাদের উপহার দিন এবং বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ করুন- এই আশা রাখি। লেখিকার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা।
Barun Roy –
বিষয় ভীষণ সময় উপযোগী । লেখাটা টানটান উত্যেজনায় ভরা ছিল।