গ্রন্থ বিবরণ
সঙ্গীত, বহমান সময়, প্রেম ও নিঃসঙ্গতার সুক্ষ্ম সংযোগের কাহিনী ‘প্রহর শেষে’। এ উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে পরজ। রাত্রি শেষ প্রহরে জন্ম তার। মার্গ সঙ্গীত শিক্ষার্থী বাবা স্বপ্ন দেখতেন পরজ-এর দিনরাত্রি যাপন হবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধনায়। প্রহর থেকে প্রহরে সে ডুবে থাকবে ভৈরবী, পুরবী, ইমন আর দরবারীর সুরে। শৈশব ও কৈশোরে বাবার বদলির চাকরি আর তারপর নিজের কর্মজীবনে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়ায় পরজ। প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব বর্ণ, গন্ধ আর সৌরভে ভরা। আবার প্রতিটি অবস্থানেই থাকে তার নিজস্ব নিভৃত নির্জন নিঃসঙ্গতা। এ যেন এক সুর থেকে অন্য সুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া। এক রাগে অন্য রাগের আবির্ভাব ও তিরোভাব।
ছায়ানট ও হাম্বীরের পাশেই যেমন কেদার ও কামোদের অবস্থান, ঠিক তেমনই পরজের কৈশোরে ঝঙ্কার তোলে রহস্য ঘেরা এক প্রায়-তরুণী মধুবস্ত্রী। কৈশোরের প্রথম উদ্ভাসে তা ছিল নিষিদ্ধতার গোপন শিহরণ। কলকাতায় এসে গান শিখে ফেরার পথে অবস্তিকাদির চোখের তারার ইমনের ঘন ছায়ায় অজান্তেই প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম। পূর্ণ যৌবনে রূপলেখার সান্নিধ্যের বিষন্ন বেহাগ। পরজ অনুভব করে তীব্র সুখে মিশে থাকে যন্ত্রণার অনুভূতি। সে জানতে পারে, ‘চালতে চালতে অনজানে মে রিস্তা বন্ যাতা হ্যায়’। চলার পথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশ্চর্য সব মানুষের সঙ্গে। এঁরা কেউ বা গায়ক, কেউ বা শ্রোতা। কিন্তু মার্গ সঙ্গীতের আশ্চর্য মীড়, সুত, ঘসিট এক জীবনের সঙ্গে অন্য জীবনকে গেঁথে ‘প্রহর শেষে’ রেখে যায় এক অতুলনীয় মূর্ছনা। প্রহর থেকে প্রহরাস্তরে উপন্যাস ‘প্রহর শেষে’ কি পারবে নিঃসঙ্গতার শেষ প্রহরের সুরে সুর মেলাতে?
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Reviews
There are no reviews yet.